কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাতে মেঘলা আকাশে দমকা হাওয়া বইছে। সঙ্গে ঝড় হাওয়া আর তুমুল বৃষ্টি। আবার দেখা যায় দিনজুড়ে দাবদাহ। আবহাওয়ার রূপ বদলে গিয়ে খরতাপে যেনো পুড়িয়ে মারছে মাঠ-ঘাট-জনপদ। এক-একটা করে দিন এগোচ্ছে, সঙ্গে বেড়েই চলেছে তাপমাত্রার পারদ। সেই সঙ্গে বাতাসে বাড়ছে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণও। গরমে একেবারে হাঁসফাঁস অবস্থা। খরতাপ ঠেকাতে চেষ্টারও কমতি নেই মানুষের মাঝে।
তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, দেশজুড়ে আসছে ৭২ ঘণ্টায় দাবদাহের কোনো পরিবর্তন ঘটবে না।
গেলো কয়েক দিন ধরে অফিসগামী মানুষ, শ্রমিক, স্কুলশিক্ষার্থী এবং শিশু ও বৃদ্ধরা গরম ও তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
ফলে রাজধানীসহ সারাদেশে বাড়ছে পানিশূন্যতা, জ্বর, হিটস্ট্রোক, পেট ও ত্বকের অসুখ। চিকিৎসকরা অতিরিক্ত পানি পান ও রোদ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।
আবহাওয়াবিদরা বলছে, সিলেট ও ময়মানসিংহ বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, রোববার সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে যা উত্তর বঙ্গোপসাগর বিস্তৃত রয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
রোববার ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ মিনিটে ও সোমবার ঢাকায় সূর্যোদয় ভোর ৫টা ১৩ মিনিটে।
এমসি/এসএস